কাবুলে পাকিস্তান ও আইএসআই বিরোধী মিছিলের খবর করার ফলে সাংবাদিকদের আটক করে তালিবান বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি টুইটারে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক টাইমস-এর সাংবাদিক শরিফ হাসান। সেখানে দেখা যাচ্ছে দুই সাংবাদিক মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের পিঠ ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন।
এই ছবি টুইট করে শরিফ লিখেছেন, ‘কাবুলে দুই সাংবাদিককে আটক করে বেধড়ক মারধর ও অত্যাচার করা হয়েছে।’ এই ছবি ভাইরাল নেটমাধ্যমে। আফগানদের একাংশের আশঙ্কা, এই ভয় সবার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চাইছে তালিবান। ভবিষ্যতে কেউ তালিবানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললে তাঁদের জন্যও একই শাস্তি অপেক্ষা করছে বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
‘স্বাধীনতা চাই’ থেকে শুরু করে ‘পাকিস্তান দূর হটো’, ‘আইএসআই দূর হটো’ প্রভৃতি স্লোগান তুলতে থাকেন তাঁরা। একটি ভিডিয়োতে এক আফগান মহিলাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পাকিস্তান বা তালিবান, পঞ্জশির দখল করার অধিকার কারও নেই। এই প্রতিবাদ চলবে। আমাদের স্বাধীনতা দিতেই হবে।’’
বেশ কিছুক্ষণ মিছিল হওয়ার পরে তা থামাতে শূন্যে গুলি চালানো শুরু করেন তালিব যোদ্ধারা। গুলির আঘাতে বেশ কয়েক জন হতাহত হয়েছেন বলে খবর। আফগানদের এই বিক্ষোভের খবর করতে যে সব সাংবাদিক গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেককে তালিবান আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল তখনই। এ বার তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও দাবি করা হল।
মঙ্গলবার সকালে কাবুলের রাস্তায় শুরু হয় মিছিল। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল আফগানিস্তানের পতাকা। মিছিলে পুরুষরা থাকলেও মহিলাদের আধিক্যই ছিল বেশি। মিছিলের ভিডিয়ো প্রকাশ হয়েছে নেটমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন আফগানরা।