এখনই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ বাংলাদেশ। আফগানিস্তান নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করেছে তারা। আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিক্রিয়া ও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে শেখ হাসিনার প্রশাসন। সূত্র অনুযায়ী খবর এমনটাই। বুধবার তালিবানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম বলেন, “আমরা এখনই আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছি না। কারণ, এটি তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আমরা স্থায়ী সরকারের জন্য অপেক্ষা করব। এই বিষয়ে আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। মহিলাদের অধিকার-সহ মৌলিক কিছু বিষয়ে তালিবানের নীতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। তবে দেশটির উন্নয়নে রাষ্ট্রসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বহুপক্ষীয় উদ্যোগ নেওয়া হলে, তাতে ঢাকার সমর্থন থাকবে।”
সম্প্রতি, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। সেই আশঙ্কা যে অমূলক নয় তা প্রমাণ করে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে পুলিশের জালে পড়ে আল কায়দার শাখা সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই জঙ্গী। আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানে আল কায়দার শক্তিবৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যেই আফগান মুলুকথেকে সন্ত্রাসের আঁচ এসে লেগেছে ঢাকার গায়ে। এর আগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক তালিবানের হয়ে লড়াই করতে আফগানিস্তানে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকার পুলিশ প্রধান। এবার তারা দেশে ফিরে জেহাদের নামে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালাতে পারে। তাই জেহাদীদের স্লিপার সেলগুলিকে খুঁজে বের করে খতম করাই এখন নিরাপত্তা সংস্থাগুলির প্রধান লক্ষ্য। আর সেই সঙ্গে এবার ঢাকা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তালিবানের শাসন ব্যবস্থা ও কার্যকলাপের উপর নজর রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবর।