সম্প্রতি আফগানিস্তানেনতুন করে তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পরে ফের সেদেশ সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কিত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে এবার ইরাকে হামলা আইসিস জঙ্গীদের। শনিবার গভীর রাতের ওই হামলায় ১৩ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, উত্তর ইরাকে কিরকুকের কাছে একটি চেকপয়েন্টে আচমকা হামলা চালায় জঙ্গিরা। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ওই হামলার বিষয়ে জানিয়েছেন ইরাকের এক বর্ষীয়ান পুলিশ অফিসার।
প্রসঙ্গত, ইরাকের ওই অঞ্চলে সেনা ও পুলিশের উপরে সম্প্রতি বহু জঙ্গী হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই হামলাকে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বড় জঙ্গী হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানের প্রত্যাবর্তনে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জঙ্গীরা। জানা গিয়েছে, কেবল তালিবানই নয়, কাবুলে প্রবেশ করেছে ইসলামিক স্টেট, আল কায়দা, জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার জঙ্গীরা। তাদের কার্যত জামাই আদরে স্বাগত জানিয়েছে তালিবান নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন। ফলে ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে শক্তিবৃদ্ধি করতে চলেছে ইসলামিক স্টেট তথা আইসিস। এমনটাই আশঙ্কা। পাশাপাশি, গোটা বিশ্বের উদ্বেগ বাড়িয়ে জানা গিয়েছে, তালিবানের পতাকা হাতে নিয়ে কাবুলের বেশকিছু জায়গায় আসর জমিয়েছে বিদেশি জেহাদীরা। তাদের মধ্যে রয়েছে আইএস, লস্কর, আল কায়দা ও জইশের সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে ইরাকের মতো দেশে আইসিস জঙ্গীদের নতুন করে হামলার ঘটনায় মাথাচাড়া দিয়েছে আতঙ্ক।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে এক শপিং মলে জঙ্গী হামলা ঘটায় এক আইসিস সমর্থক। তার ছুরির আঘাতে আহত হন ৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশের গুলিতে নিকেশ হয় হামলাকারী জঙ্গী। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন জানিয়েছেন, হামলাকারী ব্যক্তি শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা ও আইসিস সমর্থক। যদিও তিনি জানান, এই হামলা কোনও সংঘবদ্ধ হামলা নয়। তবুও আইসিসের ভাবধারায় প্রভাবিত হয়ে ওই হামলা হওয়ায় পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।