এবার দিল্লী দাঙ্গার তদন্ত নিয়ে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লী পুলিশ। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বিনোদ যাদব বলেন, ‘দেশভাগের পরে ২০২০ সালেই দিল্লীতে সবচেয়ে সাংঘাতিক দাঙ্গা হয়েছে। সেই দাঙ্গার যথাযথ তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।’ এর পাশাপাশি, গতকাল আম আদমি পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক তাহির হুসেনের ভাই শাহ আলমকেও মুক্তি দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ করা হয়েছিল, তিনি দাঙ্গার সময় দিল্লীর চাঁদ বাগ এলাকায় দোকান ভাঙচুর ও লুঠপাটে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। বিচারক বলেন, শাহ আলমের বিরুদ্ধে তদন্তে পুলিশ অপদার্থতা ও কুঁড়েমির পরিচয় দিয়েছে। মনে হচ্ছে এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাক্ষী সাজানো হয়েছিল। বিচারকের মতে, দিল্লী দাঙ্গার তদন্তের নামে পুলিশ করদাতাদের বিপুল অর্থ খরচ করেছে। কিন্তু তদন্তের নামে কোর্টের চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।
বিচারক মন্তব্য করেন, শাহ আলম যে লুঠপাট ও ভাঙচুরে জড়িত ছিলেন, তা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রমাণিত হয়নি। কোনও সাক্ষীই বলেননি যে, আপ নেতার ভাই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। বিচারকের কথায়, ‘আগামী দিনে মানুষ যখন দিল্লী দাঙ্গার ইতিহাস পড়বে, তখন তারা জানতে পারবে, তদন্তকারী সংস্থা যথাযথ তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল।’ তাঁর মতে, পুলিশ স্রেফ চার্জশিট দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। কোনও সাক্ষী বা প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করেনি।