ভারতের বহু স্মৃতিসৌধ, জাতীয় উদ্যান, স্টেডিয়াম বা পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বা রাজীব গান্ধীর নামে। অভিযোগ, যেগুলি থেকে দেশের প্রাক্তন কংগ্রেসী প্রধানমন্ত্রীদের নাম ধীরে ধীরে সরিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। আগেই দেশের সর্বোচ্চ খেলরত্ন পুরস্কারের নাম থেকে বাদ গিয়েছে রাজীব গান্ধীর নাম। বুধবারও আসাম সরকার জানায়, ওরাং জাতীয় উদ্যান থেকে সরানো হবে রাজীব গান্ধীর নাম। এবার কর্নাটকের পালা, মাইশোরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন নাগরাহোলে রাজীব গান্ধী ন্যাশনাল পার্কের নাম পরিবর্তন করা হোক। তাঁর আর্জি ফিল্ড মার্শাল কে এম কারিয়াপ্পার নামে করা হোক নাগরাহোল জাতীয় উদ্যানের নাম।
সূত্রের খবর, ওই আর্জি চিঠিতে মাইসুরুর সাংসদ একটি অনলাইন পিটিশনের উল্লেখ করেছেন, যেখানে কর্নাটক সরকারের কাছে ওই জাতীয় উদ্যানের নাম ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পার নামে করার দাবি জানানো হয়েছিল। ওই অনলাইন পিটিশনে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের সাক্ষর ছিল। ওই পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল, স্থানীয়ভাবে ওই জাতীয় উদ্য়ানের নাম নাগরাহোলের নামেই ছিল, পরবর্তী সময়ে তা রাজীব গান্ধির নামে করা হয়। ফলে ওই পিটিশনে ওই জাতীয় উদ্য়ানের নাম আগের নামেই হোক বা কারিয়াপ্পার নামে করা হোক। যিনি ওই অঞ্চলেরই বাসিন্দা।
ওই চিঠিতে মাইসুরুর সাংসদ দাবি করেছেন, ভারতের ১০৩টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে তিনটির নাম রাজীব গান্ধীর নামে রয়েছে। যারমধ্যে একটি নাগরাহোলে অবস্থিত। তাই নাম পরিবর্তন করলে কোনও সমস্যা হবে না। এটিকে ১৯৫৫ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম দিকে এটি ২৫৮ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল। পরবর্তী সময়ে মাইসুরু এবং কোডাগু জেলায় আরও অঞ্চল এর অধীনে আনার ফলে এই জাতীয় উদ্য়ানের মোট আয়তন দাঁড়ায় ৬৪৪ বর্গ কিমি।