পাখির চোখ ত্রিপুরা। তেইশে উত্তরপূর্ব রাজ্যে বড়সড় থাবা বসানোর লক্ষ্যে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। বাংলার তৃণমূল নেতানেত্রীদের আসাযাওয়া চলছে ত্রিপুরায়। এমনকী ছাত্র সংগঠনের একটি টিমও রয়েছে সেখানে। আর এবার ত্রিপুরা-আসামে সংগঠন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবার সদ্য যোগদানকারী শিলচরের নেত্রী সুস্মিতা দেবকে সামনের সারিতে নিয়ে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
সেপ্টেম্বরের গোড়াতেই টানা ১৫ দিনের ঝোড়ো কর্মসূচি নিয়ে ত্রিপুরা যাচ্ছেন সুস্মিতা। তাঁর ঠিক পরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়ার কথা আছে। দুই নেতানেত্রীর এই সফরে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে তৃণমূল শিবির।
দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১ সেপ্টেম্বর শিলচর থেকে রেলপথে সরাসরি আগরতলা পৌঁছবেন সুস্মিতা। সফরসূচি খানিকটা এরকম – সেখানে প্রথমে গিয়ে দেখা করবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুধীররঞ্জন মজুমদারের স্ত্রী মিলনপ্রভা মজুমদারের সঙ্গে। এরপর তাঁর গন্তব্য জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের বাড়ি। প্রতিভাবান তরুণী ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কথা বলবেন সুস্মিতা দেব। এছাড় মোট ৮ জেলার ৬০ টি বিধানসভা এলাকায় ঘুরবেন তিনি। দীর্ঘদিন কংগ্রেসি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পর দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরই সুস্মিতাকে উত্তরপূর্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। সেই দায়িত্ব নিয়ে সেপ্টেম্বরেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে।
অন্যদিকে, সুস্মিতার পর ৩ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তাঁর সফর ঘিরে ফের নতুন উদ্যমে কোমর বাঁধছে সেখানকার তৃণমূল শিবির। এর আগে অভিষেক যতবারই ত্রিপুরা গিয়েছেন, বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। একাধিকবার তাঁকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ নিয়েই বারবার ত্রিপুরার মাটিতে দলের শক্তি দেখিয়েছে তৃণমূল। আর এই কাজে নেতা অভিষেকের সঙ্গী দলের ৫ নেতা। তাঁরা সকলেই ঘুরিয়েফিরিয়ে ত্রিপুরায় রয়েছেন। সংগঠনের দেখভাল করছেন।