কোনও ভাবেই অপরাধীদের ক্ষমা করব না। যেখানেই থাকুক এক-একজন অপরাধীকে খুঁজে খুঁজে মারব।কাবুলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মার্কিন সেনা-নাগরিকের মৃত্যুর পর ঠিক এই ভাষাতেই ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী বা আইসিস-কে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যেমন কথা তেমন কাজ। এবার কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের বদলা নিল আমেরিকা। আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হানায় নিকেশ ইসলামিক স্টেট (খোরাসান) বা আইসিস-কে-এর কুখ্যাত জঙ্গী।
পেন্টাগন সূত্রে খবর, শুক্রবার অর্থাৎ ২৭ আগস্ট, আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালায় মার্কিন ফৌজ। ওই হামলায় খতম হয়েছে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের মূলচক্রী। মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, ‘আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে জঙ্গীঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছি আমরা। আমরা নিশানায় আঘাত করে ষড়যন্ত্রকারীকে খতম করতে সক্ষম হয়েছি। ওই হামলায় কোনও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়নি।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল। মূলত বিমানবন্দরে চত্বরে জোরালো বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় তালিবান অধিকৃত আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া কয়েক হাজার আফগান নাগরিক জড়ো হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। আফগান নাগরিকদের নিয়ে মার্কিন বিমান ওড়ার আগেই পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিস্ফোরণে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা জওয়ান রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কাবুলে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস (খোরাসান) বা আইসিস-কে। তারা জানিয়েছে, যে সমস্ত দোভাষী এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা মার্কিন বাহিনীকে সাহায্য করছেন, হামলার লক্ষ্য ছিল তাঁরাই। এদিকে আমেরিকার তরফেও ভয়াবহ বিস্ফোরণের জন্য আইসিসের দিকে আঙুল তুলেছে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের পর আফগানিস্তানে এটাই মার্কিন বাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় হামলা। দশ বছর আগে আফগানিস্তানে গুলি করে সেনা হেলিকপ্টার নামানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় ২০ মার্কিন সৈনিকের মৃত্যু হয়েছিল।