একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই বারংবার লজ্জার মুখে পড়তে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। গত সপ্তাহেই যেমন স্বামী, সন্তানকে ছেড়ে গাড়িচালককে বিয়ে করে দলের মুখ পুড়িয়েছিলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। বিষয়টি অস্বীকার করলেও সত্যি চাপা থাকেনি। এ নিয়ে সব মহলেই জোর চর্চা চলেছে। তবে বিয়ের পরই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চন্দনার দ্বিতীয় স্বামী তথা গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডু। আর এই পরিস্থিতিতে স্বামীর শুশ্রূষায় টানা হাসপাতালেই রয়েছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী রুম্পা। বহুবার স্বামীকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছেন, চন্দনার সঙ্গে ঘর না বেঁধে নিজের সংসারে মন দিতে। কিন্তু বিধায়ককে বিয়ের পর তাঁর সঙ্গেই থাকতে চান কৃষ্ণ। এ নিয়ে ফের নতুন টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির দ্বিতীয় বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। আর শনিবার শ্বাসকষ্ট আর বুকে ব্যথা নিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁর গাড়িচালক তথা বর্তমান স্বামী কৃষ্ণ কুণ্ডুকে। স্বামীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকেই কৃষ্ণর পাশে রয়েছেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রুম্পাদেবী। অন্যের সঙ্গে ঘর বাঁধতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ স্বামীকে নিয়ে তিনি চিন্তিত। তার চেয়েও বেশি চিন্তা, তাঁদের ছেলেমেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে। রুম্পাদেবী জানাচ্ছেন, চন্দনার সঙ্গে সংসার করার সিদ্ধান্তে এখনও অনড় তাঁর স্বামী কৃষ্ণ কুণ্ডু। আর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে এই টানাপোড়েনের জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
বিবাহিত কৃষ্ণকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করায় স্থানীয় বিধায়ক চন্দনা বাউরির বিরুদ্ধে সংসার ভাঙার অভিযোগ এনেছেন রুম্পাদেবী। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় গাড়িচালক কৃষ্ণকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। তবে ঘটনার জল গড়িয়েছে গঙ্গাজলঘাঁটি থানা পর্যন্ত। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এসবের মধ্যেই গত শনিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কৃষ্ণ। জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে চরম অশান্তির কারণেই আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘মন্দিরে ঠাকুরকে সাক্ষী রেখে চন্দনাকে বিয়ে করেছি আমি। তাঁর সঙ্গে সংসার বাঁধব। আমরা দু’জন একসঙ্গে পথ চলার শপথ নিয়েছি।’