২৪ অগস্ট, মঙ্গলবার শুরু হতে চলেছে টোকিও প্যারালিম্পিক। করোনার কারণে অলিম্পিকের মতো ঠিক একইভাবে এক বছর পিছিয়ে। অলিম্পিক নিয়ে প্রত্যেক দেশের আবেগ যেমন জড়িয়ে থাকে প্যারালিম্পিকেও তার অন্যথা হয় না। এই প্যারালিম্পিকের জনক হলেন স্যার লুডউইগ গুটম্যান। প্যারালিম্পিক গেমস প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রচারের চালিকাশক্তি হিসেবে এখনও সগৌরবে চলছে।
বর্তমানে মোট ২২টি খেলা রয়েছে প্যারালিম্পিকে। যেখানে নতুন সংযোজন ব্যাটমিন্টন ও তাইকোন্ডো। অলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতারের মতো বেশিরভাগ খেলা একই রয়েছে প্যারালিম্পিকেও। তবে বেশ কয়েকটি খেলার ধরণ বদলে যায় প্যারালিম্পিকে। যেমন- হুইলচেয়ার রাগবি। প্যারালিম্পিকে বোকিয়া ও গোলবল এই দুটি খেলা একেবারে ভিন্ন ধরনের। প্যারালিম্পিয়ানরা তাঁদের নির্দিষ্ট দুর্বলতার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। কয়েকটি খেলা সকল শ্রেণীর অ্যাথলিটদের জন্য উন্মুক্ত। অন্য কয়েকটি খেলা নির্দিষ্ট প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
১৯৬০ সালে রোমে প্রথম প্যারালিম্পিক গেমস হয়েছিল। তার পর থেকে বর্তমান কালেও জনপ্রিয়তাকে ধরে রেখেই চলে আসছে প্যারা অ্যাথলিটদের এই ইভেন্ট। প্রথম প্যারালিম্পিকে ২৩টি দেশ থেকে ৪০০ জন অ্যাথলিট অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে ১৬ জন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী সদস্যকে নিয়ে তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা করেন স্যার গুটম্যান । পরে এই প্রতিযোগিতা “স্টোক ম্যান্ডেভিল গেমস” কিংবা “প্রতিবন্ধীদের জন্য অলিম্পিক” বলে পরিচিত হয়। সকল দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতারই উন্নততর সংস্করণ এখনকার প্যারালিম্পিক।