মুখে সমালোচনা করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের সুযোগ নিতে বিজেপির নেতা-নেত্রীরাও শিবিরে এসে লাইন দিচ্ছেন। মেদিনীপুর শহরের বিধাননগর প্রান্তিক প্রাথমিক স্কুলে দুয়ারে সরকারের শিবির ছিল। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সহ সভানেত্রী গীতিকা ঘোষকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তুলতে দেখা গেল। তৃণমূল নেতৃত্ব আবার সেই ছবি মোবাইলবন্দীও করেছেন। মাত্র দু’দিনে শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য জেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।
গতবার দুয়ারে সরকারকে যমের দুয়ারে সরকার বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল দলের অন্যান্য নেতাদেরও। আবার দিলীপবাবুর পরিবারের সদস্যদের লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন করতেও দেখা গিয়েছিল। সমালোচনা করে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। রাজ্যে আবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারপরেও সমালোচনা থেমে নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও। কিন্তু দলের নেতা-কর্মীরা শিবিরে গিয়ে সেই সুযোগ নিতেও ছাড়ছেন না।
এদিন বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘আমি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এবং স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য এদিন ফর্ম নিয়েছি। এ দু’টি রাজ্য সরকারের প্রকল্প। আর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’এর জন্যও ফর্ম তুলতে এসেছিলাম। সেটা এখনও পাইনি’। তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য ফর্ম তুলতেই পারি। এটা তো সরকারের প্রকল্প। নাগরিক হিসেবে এর সুযোগ নেওয়ার অধিকার আছে’।
এদিকে ক্যাম্পের তৃতীয় দিনও জেলার মেদিনীপুর, খড়্গপুর, কেশপুর, গড়বেতা, গোয়ালতোড় সহ সর্বত্র ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতেই সবচেয়ে বেশি উৎসাহ উদ্দীপনা চোখে পড়েছে। অত্যাধিক ভিড় হওয়ায় অনেক জায়গায় প্রথম দিকে বিশৃঙ্খলাও দেখা দেয়। ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় পুলিস ও স্বেচ্ছাসেবকদের। হুড়োহুড়িতে অসুস্থও হয়ে পড়েন অনেকে। কেশপুরের গোলাড়ে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।