বাঙালির ভালোবাসার সাথে ওতপ্রোত যোগসূত্র রয়েছে ফুটবলের সেই ফুটবল খেলা দিয়েই এবার ত্রিপুরায় বিজেপিকে জব্দ করতে চাইছে তৃণমূল। গত ২১শে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন কথা ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী সোমবার বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরাতেও এই কর্মসূচী পালন করা হবে।
শনিবার আগরতলারহোটেল পোলো টাওয়ার্সেএক সাংবাeদিক বৈঠকে এই কর্মসূচীর কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদরা। সাংবাদিক বৈঠক শেষে হোটেলেই তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে ফুটবল খেলে ‘খেলা হবে’ দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে দেন। রবিবার ত্রিপুরা জুড়ে কর্মীদের স্বাধীনতা দিবস পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচিতে ত্রিপুরায় উপস্থিত ১০ জন তৃণমূল সাংসদ পালা করে অংশ নেবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে আগরতলাতেও পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য ১৬ই আগস্টের ‘খেলা হবে’ দিবসের দিকে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, “ত্রিপুরার মানুষ আমাদের কাছে এসে বিজেপির থেকে পরিত্রাণ চাইছে। আর সেই লক্ষ্যেই আমরা এখানে স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি, ‘খেলা হবে’ দিবসও পালন করব।”
উল্লেখ্য, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে আগরতলায় ‘খেলা হবে’ দিবস পালন উপলক্ষে দলীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি, একটি বড় আকারে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ৬০টি বিধানসভার এলাকা তো বটেই, ত্রিপুরার আটটি জেলা-সহ প্রতিটি ব্লকে এই কর্মসূচী হবে। সঙ্গে প্রতিটি জেলায় একাধিক ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি আশিস লাল সিংহ। ত্রিপুরায় হাজির নেতা, সাংসদ ও মন্ত্রীরা সোমবার সেই সব ফুটবল খেলা দেখতে যাবেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও, ত্রিপুরার ৫০টি বাছাই করা ক্লাবকে মোট ১০০টি ফুটবল দেওয়া হবে। দলের এই কর্মসূচি পালনের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “খেলা হবে দিবসের দিন আমরা গোলের পর গোল করব।”
তৃণমূলের ফুটবলার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই তো সবে শুরু। শান্তনু, ব্রাত্য, আশিস, অর্পিতা। এখানে আমরা সকলেই প্লেয়ার। এখনই আমরা ২০০০ গোলে এগিয়ে গিয়েছি। এখন শুরু হল। ২০২৩ সালে আমরা দেখিয়ে যাব। আর ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী হবে তৃণমূলের।” রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, বাংলায় খেলা হয়েছে। বাংলার মানুষ খেলা বিজেপিকে দেখিয়েছেন। এবার ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিকে খেলা দেখাবে।”