বরাবরই কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল। একটি আর্থিক বছরেই বাংলার জিএসটি ক্ষতিপূরণ কয়েক হাজার কোটি টাকা মেটানো বাকি। এমনকী দেওয়া হচ্ছে না সাইক্লোন, কোভিড মোকাবিলার টাকাও। শনিবার নয়াদিল্লীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা। পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন সাফ জানিয়েছেন, “মোদী-শাহের বিরুদ্ধে আমরা অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। পদক্ষেপ নেওয়া হোক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও। কারণ তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদ চালাতে দেননি।” এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যশোবন্ত সিনহা জানান, “শুধুমাত্র ২০২০-২১ আর্থিক বছরেই পশ্চিমবঙ্গের জিএসটি ক্ষতিপূরণ বকেয়া রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। সাইক্লোন, কোভিড মোকাবিলার জন্যও কেন্দ্র আর্থিক সহযোগিতা করছে না।”
পাশাপাশি ডেরেক ও’ব্রায়েনের অভিযোগ, “এবার বাংলার ভোটে জিততে পারেনি বিজেপি। সেই কারণে এখন আর্থিকভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আমাদের তাতে বয়ে গিয়েছে। দিল্লীতে লড়ছি। ত্রিপুরাতেও লড়ব।” শনিবার যশোবন্ত সিনহা রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্রের মোদী সরকারের আমলে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে। অ্যানুয়াল গ্রোথ রেট কমেছে, সারা দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে, সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম। রান্নার গ্যাস সহ জ্বালানি তেলের দাম মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা।
নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, “আগামী সপ্তাহে সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আপনারা সাংবাদিক সম্মেলন করুন। পার্লামেন্টকে এত ভয় কেন আপনাদের?” এছাড়াও তৃণমূলের কটাক্ষ, প্রয়োজনে সংসদেও নিজের কাটআউট লাগিয়ে রাখুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে ট্যুইটে ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রশ্ন করেন, “ঠিক কত মিনিট প্রধানমন্ত্রী এবার সংসদে কাটিয়েছেন? সারা দেশ এটি জানতে চায়।” তৃণমূলের অভিযোগ, সংসদের বাদল অধিবেশনে সবমিলিয়ে ছ’মিনিটও কাটাননি প্রধানমন্ত্রী।