টোকিও অলিম্পিকে সাতটি পদক জিতেছে ভারত। আর ভারতের এই সাফল্য দেখে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হল পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী। অলিম্পিকে ব্যর্থতার কারণ খোঁজার জন্য দেশের ক্রীড়ামন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছেন। ভারতের সাফল্যে বিশ্ববাসী খুশি হলেও পাকিস্তান সরকার বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশী দেশের ভাল পারফরম্যান্সকে ঠিকমতো মেনে নিতে পারেন না পাকরা। তাই বাধ্য হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ডেকে পাঠিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী ফেহমিদা মির্জাকে।
দশজন অ্যাথলিট কোনও পদক না জিতে ফিরে এসেছে দেশে। ফলে ভারতের সাফল্যের পাশে পাকিস্তানের চূড়ান্ত ব্যর্থতা আলোর পাশে অন্ধকারের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। টোকিওর মাটিতে ব্যতিক্রম ছিলেন দুই পাক অ্যাথলিট। একজন জ্যাভলিন থ্রোয়ার আর্শাদ নাদিম ও অন্যজন ভারোত্তোলক তালহা তালিব। দু’জন ফাইনাল রাউন্ডে উঠলেও কোনও পদক পাননি। তবে সেরা পাঁচের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। নিজ নিজ ইভেন্টে এই দু’জনের কৃতিত্বকে বাহবা দিতেই হবে।
আসলে প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন নীরজ চোপড়ার সোনা-সহ ভারতে সাতটি পদক জয় তাঁর মন্ত্রীত্বের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। আসাদ স্বীকার করে নিচ্ছেন, তাঁরা গত তিন বছর খেলাধূলোর উপর নজর দিতে পারেননি। আসলে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতেই তাঁদের যে সময় চলে গিয়েছে তাও মানছেন তিনি। “প্রধানমন্ত্রী তাই চাইছেন আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরি করে দেশের খেলাধূলোকে বিশ্বের দুয়ারে পৌঁছে দিতে।” একথা বলেছেন আসাদ।
অন্যদিকে, টোকিওতে ব্যর্থতার জন্য জাতীয় অলিম্পিক কমিটিগুলোকে দায়ী করেছেন মির্জা। প্রশ্ন উঠেছে, সমস্ত রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানগুলো তাহলে ৪৪০ মিলিয়ন কেন সরকারকে ফেরত দিয়েছিল? প্রশ্নের সদুত্তর অবশ্য ক্রীড়ামন্ত্রী দিতে পারেননি। তবে মির্জা জানিয়ে দিয়েছেন, সমস্ত জাতীয় ফেডারেশনগুলোকে পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। বিদেশে কীভাবে অ্যাথলিটদের পাঠানো যায় তারও যেন জমা দেওয়া পরিকল্পনার মধ্যে চিন্তা-ভাবনা থাকে।
“প্রধানমন্ত্রী দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামোর উপর এবার নজর দিতে চাইছেন। তাঁর শাসনকালের মেয়াদ আর দু’বছর রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, এই সময়ের মধ্যে যুব সমাজকে খেলাধূলোর মধ্যে আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে। ক্রিকেটের সঙ্গে অন্যান্য খেলাতেও যাতে দেশের সম্মান সকলের সামনে তুলে ধরা যায়।” একথা বলেছেন পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রী আসাদ উমর।