ত্রিপুরায় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে আহত তৃণমূলের ছাত্র, যুব নেতারা এখনও চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে এখনও। এই পরিস্থিতিতে সোমবারের পর ফের বৃহস্পতিবার হাসপাতালে তাঁদের দেখতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সুদীপ, জয়াদের দেখে বেরিয়ে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরই গ্রেগতার করা হয়েছে ওখানে। বাইরে থেকে কেউ গেলেই তাঁদের গ্রেফতারির মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু আমরা পিছু হঠব না, আমরা দেখে নেব’।
অগ্নিমূর্তি ধারণ করে মমতা আরও বলেন, ‘ত্রিপুরায় বর্বরের সরকার চলছে। বিজেপির একজনকেও ভোট দেওয়া উচিৎ নয়। সংবাদমাধ্যমকে মুখ খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইছি, ত্রিপুরায় যা ঘটল, তারপর কোথায় মানবাধিকার কমিশন! বাইরের রাজ্য থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’ এদিন মমতা আরও জানান, জয়াকে এদিনই ছেড়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়েই মমতা বলেছিলেন, ‘যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, তাও আবার পুলিশের সামনে। ৩৬ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা করেনি, জলও দেয়নি। এটা সম্পূর্ণ হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে, নাহলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস হতে পারে না। ত্রিপুরা আমাদের লোকেদের উপর নির্লজ্জ হামলা চালিয়েছে বিজেপি। সেখানে দানবীয় সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। আমাদের কর্মীদের মারধর করে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের সামনেই সব হয়েছে।’
মমতা এদিন সেইসঙ্গেই সংযোজন করে দেন, ‘বিমানবন্দরে জানতে চাওয়া হচ্ছে আপনি দিদির সমর্থক, নাকি মোদির সমর্থক।ত্রিপুরা, অসমে কী হচ্ছে। মানবাধিকার কমিশনের যারা রাজ্যে এসেছিলেন তাঁরা কারা? সবাই তো বিজেপির লোক।’