আর আমদানি নয়। মাস দু’য়েকের মধ্যেই রাশিয়ার কোভিড টিকা স্পুটনিক-ভি তৈরি হবে ভারতের মাটিতেই। সেপ্টেম্বর থেকে নিজেদের প্লান্টে তা উৎপাদন করবে পুণের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)। মঙ্গলবার দুই সংস্থার তরফে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্পুটনিক-ভি টিকার বিপণন সংস্থা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)। প্রসঙ্গত, সংবাদমাধ্যমের কাছে আরডিআইএফ জানিয়েছে যে প্রতি বছর ভারতে ৩০ কোটি স্পুটনিক-ভি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সেরামকে ওই টিকার প্রযুক্তিগত সাহায্য দিতে শুরু করেছে আরডিআইএফ। একটি বিবৃতি জারি করে মঙ্গলবার আরডিআইএফ জানিয়েছে, “ভারতে স্পুটনিক-ভি টিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে যে প্রয়োজনীয় কোষ এবং ভেক্টরের নমুনা প্রয়োজন, তা ইতিমধ্যেই সিরামকে পাঠিয়েছে রাশিয়ার গামালেয়া ইনস্টটিউট।” স্পুটনিক-ভি টিকার প্রযুক্তি আমদানিতে আগেই সিরামকে অনুমতি দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। সিরামের পুণের প্লান্টে পরীক্ষামূলক ভাবে কম সংখ্যক স্পুটনিক-ভি উৎপাদনের জন্য ওই সংস্থাকে গত ৪ জুলাই লাইসেন্স দিয়েছিল সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, বছরের ডিসেম্বরে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে তা আদৌ সম্ভব কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত টিকার অভাবে মঙ্গলবার দিল্লীর সরকারি কেন্দ্রগুলিতে টিকাকরণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে সরকার। এই আবহে এ দেশে আরও একটি টিকার উৎপাদন শুরু হলে তা টিকার অভাব মেটাতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন অনেকে। গোটা প্রক্রিয়ায় ডিসিজিআই-এর মতোই সন্তুষ্ট সিরাম-কর্তা আদার পুনাওয়ালাও। সিরামের সিইও আদার বলেছেন, “দেশে স্পুটনিক-ভি তৈরিতে ডিসিজিআই-এর সঙ্গে হাত মেলাতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। আশা করি, আগামী মাসগুলিতে কয়েক কোটি টিকা তৈরি করতে পারব। সেপ্টেম্বর থেকেই এই ট্রায়াল ব্যাচ তৈরিও শুরু হবে।” প্রসঙ্গত, মে মাসে হায়দ্রাবাদের বাজারে প্রথম ছাড়া হয়েছিল স্পুটনিক-ভি। তার পর থেকে কেবলমাত্র বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ৯৯৫.৪০ টাকায় এক-একটি টিকা পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ দেশে উৎপাদন শুরু হলে সে দামও যে কমতে পারে, তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।