বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করে রাজ্যে তৃতীয়বার সরকারে এসেছে তৃণমূল। বাংলায় ভরাডুবি ঘটার পর কথায় কথায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছে বিজেপি। এর পাল্টা জবাব দিচ্ছে তৃণমূলও। ফলত দু’দলের মধ্যে নানা বিষয়ে সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। এবার নাম না করেই রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কেউ গিয়েছিলেন সিবিআই থেকে বাঁচতে। আবার কেউ গিয়েছিলেন ক্ষমতা পাওয়ার লোভে। নীতি আদর্শ সব জলাঞ্জলি দিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতেই অনেকে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। আজ ওঁদের অবস্থা কী তা তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।’
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি বাংলায় সরকার গড়ার যে দাবি তুলেছিল, তার পাল্টা জবাব বাংলার জনগন দিয়েছে। পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেস কে জিতিয়ে সরকারে বসিয়েছে তারা। এরপর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। ভোটের আগে যারা বিজেপিতে গিয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকেই ফের তৃণমূলে ফিরে আসতে চেয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলায় বিজেপির কোনও স্থান নেই, এটা একটা সাম্প্রদায়িক দল। শান্তির বাংলাকে শুধু অশান্তি ছড়ানোর চালাচ্ছে ওরা। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েই আস্থা রেখেছেন মানুষ।’
আজ আলিপুরের গোপালনগর কল্যাণ সংঘ আয়োজিত ৭৮ নং পল্লী দুর্গোৎসবের খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ইতিমধ্যে দিল্লীতে হয়ে যাওয়া জেপি নাড্ডা ও দিলীপ ঘোষের বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা ওঁদের দলের বৈঠক হতেই পারে। তবে আগামী দিনে বাংলায় বিজেপি করার মতো কেউ থাকবে না।’