বিতর্কের মুখে আগেই নন্দীগ্রাম মামলা ছেড়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এবার সেই মামলা গেল হাইকোর্টের অন্য বিচারপতির বেঞ্চে। সূত্রের খবর, সোমবার বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে এই মামলা স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ফলে অবশেষে এই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে, এমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালই মামলাটি বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে পাঠিয়েছেন।
নন্দীগ্রাম মামলাটিও সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারে, মাঝে অবশ্য এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানার বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো শীর্ষ আদালতে যেতে পারেন বলে জল্পনা ছড়ায়। যদিও সেই জল দিল্লী পর্যন্ত গড়ানোর আগেই মামলাটির স্থানান্তর অন্য বেঞ্চে হয়ে গেল। হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতি কোনও মামলা ছেড়ে দিলে সংশ্লিষ্ট মামলাটি কে শুনবেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার থাকে প্রধান বিচারপতির। সেই মতো এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান, পরবর্তী সময় বিচারপতি শম্পা সরকারই নন্দীগ্রাম মামলাটি শুনবেন। যদিও কবে থেকে শম্পা সরকারের বেঞ্চ মামলাটির শুনানি হবে তা এখনও জানা যায়নি।
নন্দীগ্রামের ফলাফল পুনর্গণনার দাবি নিয়ে করা এই মামলার শুনানি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে হোক, তা আগাগোড়াই চাননি মমতা। এর কারণ, কৌশিক চন্দকে একাধিক সময় বিজেপির নানা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। তিনি ‘বিজেপি মনোভাবাপন্ন’ বলেও দাবি করে তৃণমূলের আইনজীবী সেল। ফলে যে মামলাটি খোদ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে, তার শুনানি কৌশিক চন্দের এজলাসে হলে নিরপেক্ষ রায় নাও হতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল তৃণমূল নেত্রীর। সেই মতো দিনদুয়েক শুনানির পর অসন্তুষ্ট হয়েই মামলাটি ছেড়ে দেন কৌশিক চন্দ।