রাজ্যে করোনা সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটা আয়ত্তে এলেও এখনও পুরোপুরি কমেনি। তাই ফের যাতে সংক্রমণ না বাড়ে, তার জন্য উৎসব উদযাপনে কড়া বিধি নিষেধ জারি রেখেছে রাজ্য প্রশাসন। যার ফলে বহু শতাব্দী প্রাচীন রীতিতেও হয়েছে কাটছাঁট। তাই জনস্বার্থের কারণে মায়াপুর ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কনশাসনেস, ওরফে ইসকন এইবছর রথযাত্রার আয়োজন স্থগিত রেখেছে। একটি রথেই ৩টি বিগ্রহ জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা কে নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণের মধ্যেই ২০০ মিটার মত রথের চাকা ঘোরে।
মন্দিরের সেবায়ত, ভক্ত সবমিলিয়ে ৫০ জন রথ টানার সময় ভিতরে থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেককে আই কার্ডও দেওয়া হয়েছে, যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে একজনও ঢুকে না পড়েন। এদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মন্দিরের মূল ফটক বন্ধ ছিল। মূলত দর্শক-ভক্ত সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় রথের দিন বেশি থাকে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। রাস্তায় রথ নামেনি, কিন্তু ভক্তরা যাতে জগন্নাথ দেবের দর্শন পায় তার জন্য ভার্চুয়াল রথযাত্রার ছবি বাড়ি বসেই দেখতে পেলেন ভক্তরা।
গত বছরেই করোনার কারণে ইসকনের রথযাত্রার নিয়ম বদলানো হয়েছিল। এত বছরের প্রথা বদলে মোটরচালিত যানে করেই মাসির বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় জগন্নাথ দেবকে। আগে এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে মেলা আয়োজন করা হয়ে থাকত, যা গত দু’বছর ধরে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ফলত বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও।