ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর আর এই জয়ের অন্যতম কারিগর হলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। চুক্তি হলেও শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সংগঠনে ছোট-বড় পদক্ষেপের সঙ্গে এখনও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, এবার কিছুটা তাঁর মতামতকে মান্যতা দিয়েই তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের ক্ষেত্রে তারুণ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক পদে যে রদবদল হতে চলেছে, সেখানেও যুবাদের উত্থানের ইঙ্গিত মিলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অতিসম্প্রতি দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি চালু করেছেন মমতা। ফলে যে মন্ত্রীরা জেলা সভাপতির পদেও রয়েছেন, তাঁদের সেই পদ খোয়ানোর বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই নতুন রদবদলের ঘোষণাও করতে পারেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রদের সংগঠনে গুরুত্ব কমতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই শূন্যস্থান ভরতে যুবদের দলের মূল সংগঠনে নিয়ে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোরকে মতামতকেই মান্যতা দিচ্ছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
দলের আগামীর পথ চলার ক্ষেত্রে তরুণ, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেতা কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন বলেই সাম্প্রতিক সময় দলের অন্দরে জানিয়েছেন পিকে। গত সপ্তাহান্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘরোয়া একটি বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপন করেন তিনি। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আসন্ন সময় দলের মূল সংগঠনে তরুণ তুর্কিদের উত্থান দেখলে অবাক হতে হবে না। যাঁরা এখন যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের ‘প্রমোশন’-ও হতে পারে বলে জানাচ্ছে তৃণমূল সূত্র। পাশাপাশি তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জেলা সংগঠনের খোলনলচেও বদলে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে নেতৃত্বের।