ফের রাতের অন্ধকারে চলল বোমাবাজি। শনিবার রাতে তৃণমূলের সোদপুরের দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে চলে বোমাবাজি। সেইসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রাক্তন পৌর পিতা তথা বর্তমানের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর জয়ন্ত দাস। খবর পেতেই সেখানে এসে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বোমাবাজিতে কেউ আহত না হলেও সোদপুর এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়।
শনিবার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর জয়ন্ত দাস ও তার অনুগামীরা প্রত্যেক দিনের মতোই পানিহাটির বিবিবাগানের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। রাত পৌনে দশটার সময় দুটি বাইকে ৬ জন যুবক আসে এবং দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে। খড়দহ পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানায় দুষ্কৃতীরা বাইকে বসে দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে ৫-৬ টি বোমা বর্ষণ করে এবং তারপর সেখান থেকে চম্পট দেয়।
গত ৪ঠা জুলাই পানিহাটির খুব কাছেই টিটাগড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে এবং একজন আহতও হন। এই ঘটনার পেছনে বিজেপির হাত আছে বলে অভিযোগ জানায় শাসক দল। এক সপ্তাহের মধ্যে একই এলাকায় ফের বোমাবাজিতে আতঙ্কে সোদপুরবাসীরা। পানিহাটির বোমাবাজি কাণ্ডে তৃণমূলের এক দলীয় কর্মী জানায়- ‘পরিকল্পনা করেই বোমাবাজি করা হয়। প্রাক্তন পৌরপিতা কে আহত বা খুনের পরিকল্পনা করেই এখানে দুষ্কৃতীরা আসে। কারণ তিনি রোজ এই সময় এই কার্যালয়ে উপস্থিত থাকেন। এর পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র আছে।’