লোকসভা নির্বাচন থেকেই দলের প্রমিলা বাহিনীকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা ভোটের পর মন্ত্রিসভা গঠনে নারী শক্তির ওপরই আস্থা রেখেছেন তিনি। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মহিলাদের গুরুত্ব বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫ থেকে মহিলা মন্ত্রী বেড়ে হয়েছে ১১। কিন্তু তাতেও শতাংশের হিসাবে রাজ্যের চেয়ে খানিকটা পিছিয়েই থাকল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মমতা মন্ত্রিসভায় ৪৪ জন মন্ত্রীর মধ্যে যেখানে ৮ জন মহিলা, সেখানে ৭৮ জনের মোদী মন্ত্রিসভায় রয়েছেন ১১ জন।
যদিও বুধবারের রদবদলের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় ১১ জন মহিলা ঠাঁই পেতেই একে ঐতিহাসিক বলে প্রচার করছে কেন্দ্র। তবে মমতার মন্ত্রিসভা এবং মোদীর মন্ত্রিসভা তুলনা প্রসঙ্গে বাংলার পঞ্চায়েত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই মহিলাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। সরকারে এসে নারীদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা করে তিনি চেয়েছেন, সমাজের নানা স্তরেই যেন অগ্রাধিকার পান মহিলারা। দেশের অগ্রগতিতে মহিলারা অংশগ্রহণ না করলে পিছিয়েই থাকতে হয়— বিবেকানন্দের এই নীতিতেই বিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর থেকে পাঠ নেওয়া উচিত মোদী সাহেবের।’