উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক জন বার্লা। এনিয়ে সাংসদের কথার সঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও একমত হতে পারেননি। কিন্তু সেই জন বার্লাকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ দেওয়া হল মোদীর মন্ত্রিসভায়। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে তাঁকে।
এবার সেই বার্লার বিরুদ্ধে একেবারে তেড়েফুঁড়ে আন্দোলনে নামার চিন্তাভাবনা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি পৃথক রাজ্যের দাবিকে উস্কানি দেওয়ার জন্য বার্লাকে মন্ত্রী করা হয়েছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘বিজেপি একটা অদ্ভূত রাজনৈতিক দল। এমন একজনকে উত্তরবঙ্গ থেকে মন্ত্রী করা হয়েছে যিনি বাংলা ভাগ চান। পাহাড় নিয়ে আগেও এই ধরনের মদত দেওয়া হয়েছে।’
প্রশ্ন উঠছে বার্লাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে আদতে কী বার্তা দিতে চাইছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? তবে কি বাংলা ভাগের দাবি যিনি তুলেছিলেন তাঁকে বিশেষ মর্যাদা দিতে চাইছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার? প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই রাজ্যভাগের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন চালানো কেপিপি, গ্রেটারদের একাংশ বারলার মন্তব্যকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন।
আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গকে বাংলা থেকে আলাদা করার জন্য বিজেপি নতুন উকিল তৈরি করেছে। তিনি জন বার্লা। বাংলাকে ভাগ করার উসকানি দেওয়ার জন্য তাঁকে পুরস্কার দিয়েছে বিজেপি। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদত দেওয়ার জন্য তাঁকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। একথা মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।’