প্রয়াত কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। জুন মাসের শেষে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া।
গত ৬ জুন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হওয়ায় মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল দিলীপ কুমারকে। সেই সময়ও অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। ১১ জুন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু একই সমস্যা নিয়ে ৩০ জুন ফের হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দিলীপ কুমার। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধ্যকজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ফুসফুসে জল জমেছিল। দেখা দিয়েছিল কিডনির সমস্যাও। গত কয়েকমাস ধরেই শারীরিক সমস্যা বেড়েছিল। এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। বর্ষীয়ান অভিনেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকজ্ঞাপন করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।
১৯২২ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন দিলীপ কুমার। আসল নাম মহম্মদ ইউসুফ খান। ১৯৪৪ সালে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ। সেই অর্থে জুগনু তাঁর প্রথম বক্স অফিস হিট সিনেমা। এছাড়া নায়া দৌড়, মুঘল-এ-আজম, দেবদাস, রাম অউর শ্যাম, আন্দাজ, মধুমতী এবং গঙ্গা-যমুনারর মতো ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। তাঁকে বলিউডের ‘ট্র্যাজেডি কিং’ আখ্যা দিয়েছিলেন সমালোচকরা।
সেরা অভিনেতা হিসেবে ৮টি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন সবচেয়ে বেশি পুরস্কার জেতার গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও রয়েছে তাঁর। ভারত সরকারের তরফে ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয় দিলীপ কুমারকে। ভারতীয় সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে ‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কার পান দিলীপ কুমার। ২০১৫ সালে ভারত সরকারের তরফে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মানও দেওয়া হয় তাঁকে। ২০০০ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন তিনি।