বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। মঙ্গলবার ২৬৫ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৯৬ জন বিধান পরিষদ গঠনের পক্ষে ভোট দেন। ৬৯ জন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ ভোট নিয়ে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায়।
বিজেপি আগেই জানিয়েছিল, বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা না হলে তারা ভোটাভুটিতে যাবে। সে কথা মাথা রেখেই বিধান পরিষদ গঠন নিয়ে ভোটাভুটি হয়। আর্থিক অনটনের মধ্যেও কী যুক্তিতে বিধান পরিষদ গঠন করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি। অন্যদিকে, সরকার পক্ষের দাবি, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে বিধান পরিষদ থাকলে বাংলায় তা গঠন করতে সমস্যা কোথায়?
তবে ভোটাভুটিতে পাশ হলেও বিধান পরিষদ গঠন করতে এখনও বেশ কয়েকটি ধাপ পেরতে হবে রাজ্য সরকারকে। উল্লেখ্য, যে ৬৯ জন বিপক্ষে মত দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৬৮ জন বিজেপির এবং একজন নির্দল বিধায়ক। নিয়ম অনুযায়ী, এবার এই প্রস্তাব যাবে রাজ্যপালের কাছে। তিনি অনুমতি দিলে সেই প্রস্তাব যাবে কেন্দ্রের দরবারে। সেখানে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তা পাশ হতে হবে। তারপর রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগবে। তবেই বিধান পরিষদ গঠন করতে পারবে রাজ্য সরকার।
যদি পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ গঠিত হয় তবে তাতে ৯৮টি আসন থাকতে পারে। কারণ বিধান পরিষদের আসন সংখ্যা বিধানসভর আসন সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের চেয়ে বেশি করা যায় না। যদিও, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই বিধান পরিষদের প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। তারপর বিধান পরিষদ গঠনে অ্যাড হক কমিটিও তৈরি হয়। এই মুহূর্তে দেশের ছয়টি রাজ্যে বিধান পরিষদ রয়েছে। সেগুলি হল – অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, বিহার, তেলঙ্গানা এবং উত্তরপ্রদেশ।