‘মোদীবাবু পেট্রোল বেকাবু’ টুইটারে এই ট্যাগ ব্যবহার করে জ্বালানির দাম নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘করোনার মধ্যেই জ্বালানির দাম ঐতিহাসিক জায়গায় পৌঁছেছে। বিজেপি সরকারকে দেখে মনে হচ্ছে তারা সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে দিতে বাড়তি পরিশ্রম করছে”, সম্প্রতি এমনটাই লিখেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল চাইছে এবার সংসদেও এই ইস্যুতে সরব হতে।
সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন জ্বালানি কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। চিঠিতে মমতা স্পষ্ট পরিসংখ্যান তুলে দিয়ে লিখেছেন, মে মাসে ৮ বার পেট্রোলের দাম বেড়ে গিয়েছে, জুনে দাম বেড়েছে মোট ৬ বার। আর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই ৪ বার দাম বাড়ল পেট্রোলের। পাশাপাশি তিনি সেস নিয়েও কেন্দ্রকে বিঁধেছেন। আগামী দিনে তিনি এই ইস্যুতে আরও সুর চড়াবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নোটবন্দীর সময় থেকেই জনতার ইস্যুতে দ্রুত বিরোধিতার অবস্থান নেওয়া তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল। এবারেও তার অন্যথা হচ্ছে না। সংসদের বাদল অধিবেশনে ঝড় উঠতে পারে এই নিয়েই। দলের অন্দরের সূত্রের খবর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সংসদে এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেবেন।
পাশাপাশি সমস্ত বিধায়কদের তৃণমূলের তরফে আগামী ১০ এবং ১১ তারিখে প্রতিবাদে সামিল হতে বলা হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমস্ত বিধায়কদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, করোনা বিধি মেনেই বিক্ষোভ হবে। রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের প্রশ্নে তৃণমূল অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে এমনটাও শোনা যাচ্ছে। এক দিকে পথে নেমে বিরোধিতা অন্য দিকে লোকসভায় সুর চড়ানো এই দ্বিমুখী আক্রমণের স্ট্র্যাটেজি আপাতত তৃণমূলের রণকৌশল। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন মাথায় রেখে তৃণমূল চাইছে এই ইস্যুই বিরোধীদের হাত আরও শক্ত করুক।