‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির’ পরিকাঠামোর দিকে কেন নজরে রাখা হচ্ছে না? এবার এই নিয়েই প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে রাজ্যের জেলাশাসক এবং মিউনিসিপাল কমিশনারদের কড়া চিঠিও দিয়েছে নবান্ন। শুধু তাই নয় নবান্ন সূত্রে খবর খুব শীঘ্রই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই বিষয় নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেও বৈঠক করতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ ই অক্টোবর রীতিমত নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য জুড়ে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। মূলত সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে আরও সহজে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা হয়। এখনও এক বছরও হয়নি, তারমধ্যেই কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোর অবস্থা একেবারেই তলানিতে। এই কারণেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গুলির মাধ্যমে একাধিক সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার ২৫১ টি সহায়তা কেন্দ্র যার মধ্য থেকে ১৮০টি বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের মাধ্যমে আদান প্রদানের সুবিধা এবং ৭১টি তথ্য আদান প্রদানের পরিষেবা পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল ৩৮ টি বিভাগের মাধ্যমে। কিন্তু তারপরেও কেন এত ঢিলে ঢালা মনোভাব তা নিয়েই এবার নবান্ন জানতে চাইল জেলাশাসক, মিউনিসিপাল কমিশনারদের কাছে।
সূত্রের খবর, মুখ্য সচিবের স্বাক্ষর করা এই চিঠিতে বলা হয়েছে:
১) দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিকাঠামো সংক্রান্ত যে সমস্যাগুলি রয়েছে এবং কী ভাবে সেই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করতে হবে প্রত্যেকটি বিভাগের সঙ্গে।
২) বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা যাঁরা অন্যান্য জায়গায় কাজ করছেন, তাঁদেরকে দ্রুত সেই জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
৩) বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে অফিসারদের এবং ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় যারা নির্বাচিত হয়েছেন বা বিভিন্ন মিউনিসিপালিটি তে যারা রয়েছেন এবং কী কী ব্যবস্থা বা পরিষেবা এই বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের মাধ্যমে দেওয়া যাবে সেই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
৪) প্রত্যেকটি রিভিউ মিটিংয়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র কি এবং তার পরিষেবা কী কী হবে সেই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে জেলাশাসকদের।
৫) একজন করে অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং আইটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অফিসারদের বাংলা সহায়ক কেন্দ্রগুলিতে দায়িত্বে রাখতে হবে প্রত্যেক দিনের নজরদারি এবং কি কি কাজ করছে তা দেখার জন্য।
৬) বাংলার সহায়ক কেন্দ্রগুলির যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক হবেন তাঁদেরকেও প্রশিক্ষণ নিতে হবে সরকারি পরিষেবাগুলি যেগুলো পাওয়া যাবে সেগুলো সঙ্গে সাযুজ্য রেখে।
৭) বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি যাতে দৃষ্টিগত ভাবেও ভাল হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।