নির্মল গ্রামের পর, এবার স্বজল গ্রাম। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য, কারিগরি দফতর গোটা রাজ্যের সমস্ত গ্রামকে স্বজল গ্রাম করার লক্ষ্য নিয়েছে। যে সব গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পরিশুদ্ধ, পানীয় জল পৌছে যাবে। জল নিয়ে কোনও অসুবিধা থাকবে না। সেই সব গ্রাম ঘোষিত হবে স্বজল গ্রাম হিসাবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে প্রতিটি গ্রামই স্বজল হয়ে যাবে বলে রাজ্য সরকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
বাড়ি বাড়ি জলের কল। ‘জল স্বপ্ন’ এর পানীয় জল। এই স্লোগানকে সামনে রেখেই সব গ্রামের, প্রতিটি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌছে দেওয়া হবে। আমফান-করোনা-ইয়াস তিন বিপর্যয় সামাল দিয়েছে রাজ্য। তারমধ্যেও বাংলার উন্নয়ন আটকে থাকবে না বলে জানিয়েছে সরকার। গত বছর গ্রামবাংলার বাসিন্দাদের জন্য নয়া প্রকল্প জলস্বপ্ন চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রামের দু’কোটি মানুষের কাছে পরিশোধিত জল পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে গ্রামে-গ্রামে তৈরি হবে কর্মসংস্থানও। এই প্রকল্পের নাম দিয়েছিলেন ‘জলস্বপ্ন’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের দু’কোটি মানুষের কাছে পরিশ্রুত জল পৌঁছে যাবে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের অধীনে ৫৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ চলছে। শেষ হতে পাঁচ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পকে তাঁর ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘এই প্রকল্পকে নিয়ে স্বপ্ন দেখুন। গর্ব অনুভব করুন। গান বাঁধুন। জলস্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে মা-বোনেদের দূরে গিয়ে জল আনতে হবে না। তৈরি হবে কর্মসংস্থানও’।মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাজ্যবাসী। রাজনৈতিক মহলের মতে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল টক্কর দিয়েছে বিজেপিকে। জানপ্রাণ লড়িয়ে দিয়েছিল বিজেপি। গ্রামে গ্রামে জল নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। ২০২৪ এর কথা মাথায় রেখে গ্রাম বাংলার ভোট নিজের ঝুলিতে ভরতেই ‘জল স্বপ্ন’ এর মাধ্যমে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।