১ বছরেরও আগের বকেয়া বেতনের জন্য ফিফা-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনি অ্যাকোস্টা-সহ কয়েকজন ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে চিঠি পাঠিয়ে দ্রুত সেই বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল ফিফা। এও জানিয়েছিল, যতদিন পর্যন্ত বকেয়া টাকা না মেটানো হবে, ততদিন কোনও ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না। তবে কয়েকদিন আগেই সেই জনি অ্যাকোস্টার বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বিদেশি ফুটবলারদের বকেয়া বেতন মেটানোর নথি শ্রী সিমেন্টের কাছে পাঠিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ কর্তাদের কাছ থেকে সেই নথি পাওয়ার পর লগ্নিকারী সংস্থা তা ফিফা-র কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। এরপরই ফিফার এক চিঠিতে ট্রান্সফার ব্যান উঠে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এদিকে, ফিফা জনি অ্যাকোস্টার এজেন্টের কাছ থেকে বকেয়া মেটানোর চিঠির অপেক্ষায় রয়েছে। জনির এজেন্ট তা নিশ্চিত করলেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ওপর থেকে ট্রান্সফার ব্যান উঠিয়ে নেওয়া হবে বলে শ্রী সিমেন্টকে জানিয়েছে ফিফা। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আগের লগ্নিকারী সংস্থা কোয়েসকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছে। সেই চিঠিতে বিদেশি ফুটবলারদের বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। কোয়েসের আইনজীবীরাও লাল-হলুদ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সেই বকেয়া টাকা পাওয়ার ব্যাপারে প্রবল আশাবাদী।
গতকাল ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকে শ্রী সিমেন্টের চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সইয়ের ব্যাপারে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, লাল-হলুদ কর্তারা আগের থেকে অনেকটাই নমনীয়। চুক্তিপত্রের কয়েকটা শর্তের ব্যাপারে তাঁরা রাজিও হয়েছেন। অন্যদিকে, শ্রী সিমেন্টের কর্তারাও অনেকটা নমনীয়। কর্তাদের আশা এই সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টি নিস্পত্তি হয়ে যাবে। তারপরই সামনের মরশুমের জন্য দল গঠনে ঝাঁপাবে ইস্টবেঙ্গল।