বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠক এড়ালেন প্রবীর ঘোষালও। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এদিন বৈঠক শুরু হলে শারীরিক ভাবে বা ভার্চুয়ালি কোনও ভাবেই পাওয়া গেল না প্রবীর ঘোষালকে। তাঁর বক্তব্য, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে এ বৈঠকে তিনি যেতে পারেননি। দলকে সে কথা তিনি জানিয়েও দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মত, ব্যক্তিগত সমস্যার আছিলায় আসলে প্রবীর ঘোষাল বিজেপির সঙ্গে স্পষ্টতই দূরত্ব রাখছেন। এই দূরত্ব রচিত হয়েছে অনেকদিনই।
নির্বাচনের আগে যে প্রবীর দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ জানিয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন সেই প্রবীরই আবার নির্বাচন মিটতে বিজেপির বিরুদ্ধাচরণ শুরু করেন। নির্বাচনের পরে যখন মুকুল পুত্রের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্য ক্রমশ ডানা মেলছে, তখন ক্ষোভ লুকোননি প্রবীরও। প্রবীর ঘোষাল বলে দিয়েছিলেন, তাঁর মাতৃবিয়োগের খবর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানতেনও না। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরা ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক মহল বলতে থাকে আসলে প্রবীর যে পুরনো ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলে পুরনো দলে ফিরতে আগ্রহী, তা-ই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁকে ফেরানো নিয়ে দল এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন তুলনামূলকভাবে নরমপন্থীদের দলে ফেরানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি বেঁধে দিয়েছেন, নির্বাচনের আগে যারা টাকা নিয়েছেন বা দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন এদেরকে দলে জায়গা দেওয়া হবে না।
প্রবীর কোন দলে পড়বেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর শ্রদ্ধার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের। একথাও, সত্য দল ছাড়লেও সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও বিরুদ্ধাচরণ করেননি বরং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই জানিয়েছিলেন তিনি। বাকিটা রাখা আছে আপাতত ভবিষ্যতের গর্ভে।