গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে আটকে গিয়েছে ব্রাজিল। তবে আর্জেন্টিনা সেই ভুল করলো না। বরং গ্রুপের শেষ ম্যাচে চলতি কোপায় সবথেকে বড় জয় তুলে নিলো মেসির দল। পাশাপাশি শীর্ষে থেকেই কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার ৪-১ গোলে বলিভিয়াকে হারাল তারা। জোড়া গোল করলেন লিওনেল মেসি।
ম্যাচের শুরুতেই মেসি ম্যাজিক। সতীর্থের থেকে বল পেয়ে আর্জেন্টিনার প্রাণ ভ্রমরা পাস বাড়ান সতীর্থ আলেহান্দ্রো গোমেজের উদ্দেশে। মেসির একটি পাসেই কেটে যায় বলিভিয়ার রক্ষণ। বল পেয়ে সময় নষ্ট করেননি গোমেজ। ভলি মেরে ৬ মিনিটের মাথায় এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। তবে গোল খেয়ে দমে যায়নি বলিভিয়া, বরং সমানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। বার বার আক্রমণ তুলে আনছিল আর্জেন্টিনার অর্ধে। তবে ভুল করে ফেলেন বলিভিয়ার আদ্রিয়ান জুসিনো। নিজেদের বক্সে গোমেজের পায়ে মারেন তিনি। সেখান থেকেই পেনাল্টি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এ বার আর সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি। ৩৩ মিনিটের মাথায় ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ব্যবধান আরও বাড়ে ৪২ মিনিটে। বিরতিতে যাওয়ার আগে ফের মেসি ম্যাজিক। এ বার মেসিকে পাস বাড়ান সের্জিও আগুয়েরো। বল তুলে দেন বলিভিয়া রক্ষণের ওপর দিয়ে। সেই বল ধরার চেষ্টা না করে চলতি বলেই ভলি মেরে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে তুলে দেন মেসি। জালে জড়িয়ে যায় বল। প্রথমার্ধেই ম্যাচ নিজেদের পকেটে ভরে নেয় আর্জেন্টিনা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটের মাথায় একটা গোল শোধ করে বলিভিয়া। গোল করেন এরউইন সাভেদ্রা। তাঁকে পাস বাড়ান জুসিনো। তিনি দলের গোলে অবদান রেখে বিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেওয়ার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন। এরপর ৬৪ মিনিটের মাথায় আগুয়েরোকে তুলে নিয়ে লাউতারো মার্তিনেজকে নামান প্রশিক্ষক লিওনেল স্কালোনি। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে আক্রমণ ভাগের ফুটবলারদের দেখে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তাঁকে নিরাশ করেননি মার্তিনেজ। নামার এক মিনিটের মধ্যে স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন তিনি। ৬ গজের বক্সে জটলার মধ্যে থেকে বল পেয়ে যান মার্টিনেজ। গোল করতে ভুল করেননি ইন্টার মিলানের এই স্ট্রাইকার।
আরও একটা গোল পেয়ে যেতেই পারতেন তিনি। তবে ৪ গোল হজম করা বলিভিয়ার গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পে হঠাৎ করেই যেন আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড লাইনের সামনে মানব প্রাচীর হয়ে ওঠেন। ৬ গজের বক্সের মধ্যে থেকে মারা শট আটকে দেন তিনি। ফিরতি বলে ফের শট নিলে তাও প্রতিহত করেন লাম্পে। মেসির মারা ফ্রি কিক থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয়। তবে দলের লজ্জা আর বাড়তে দেননি তিনি। শেষ অবধি ৪-১ ব্যবধানেই ম্যাচ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।