তৃণমূলে যোগ দিয়েই পুরোনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপরে দিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। বাংলায় বিজেপির খারাপ ফলের জন্যে, দায়ী করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীকে। গঙ্গাপ্রসাদের যুক্তি, ভোটের সময় বিজেপিতে অসহায় ছিলেন খোদ দিলীপ ঘোষ। সোমবার দুপুরেই পদ্মশিবির ছেড়ে, ঘাস ফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ। তাকে দলে এনে দলের সংগঠন মজবুত করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সংগঠন মজবুত করতেই তিনি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার জেলায় ভালো ফল করে বিজেপি। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে জেলার ৫ বিধানসভা আসনেই জয় ছিনিয়ে আনে বিজেপি। তার পরেও জেলা সভাপতির পদ ছেড়ে অন্য দলে নাম লেখানোয় অবাক রাজনৈতিক মহল। যদিও গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দাবি, “দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না জেলা সভাপতিকে। যার জন্যে দীর্ঘ দিন ধরেই তৈরি হচ্ছিল দূরত্ব। তবে আমি দলকে ডোবাইনি। আমি আমার কাজ করে ৫ আসনে জিতিয়ে দিয়েছি। এরপর দল ছেড়ে এসেছি। আমি দলে গদ্দার নই।”
এদিন ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েই কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদ। তিনি জানিয়েছেন, “দল নষ্টের পিছনে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি দিল্লিকে ভুল বুঝিয়েছেন। একজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কি করে রোড শো করেন। হাত নাড়তে নাড়তে যান। এটা কি তার কাজ?” এর পাশাপাশি তার অভিযোগ, ভোটের সময় কৈলাস-অরবিন্দ মেনন-শিবপ্রকাশ সহ একাধিক নেতারা যারা দিল্লি থেকে এসেছিলেন তাঁরা ক্রমাগত খারাপ ব্যবহার করে গেছেন সংগঠকদের সাথে। কার্যত অভিমানের সুর গঙ্গাপ্রসাদের গলায়। তবে গোটা রাজ্যে খারাপ ফলের জন্যে গঙ্গাপ্রসাদ বারবার দায়ী করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীকে।
মাথাব্যথা আরও বেড়েছে গেরুয়াশিবিরের। গঙ্গাপ্রসাদ দল ছাড়তেই আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের ১১টি অঞ্চল থেকে প্রায় ১ হাজার বিজেপি নেতা কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই আরও বেশ কয়েকজন সাংগঠনিক নেতা যোগ দিতে চলেছেন শাসকদলে।