আর মাসদুয়েকের মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। যাতে ফের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি থার্ড ওয়েভে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক বাড়তে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। তাই এখন থেকেই তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন। গঠন করা হল ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই কমিটিতে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার, যকৃৎ সংক্রান্ত রোগ বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।
সূত্রের খবর, বাংলায় করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চিকিৎসা এবং হাসপাতাল পরিকাঠামো বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তা ঠিক করবে এই কমিটি। আগামীকাল, বুধবার রাজ্যের তৈরি এই বিশেষজ্ঞ কমিটি স্বাস্থ্য ভবনে প্রথম বৈঠক করবে বলেও জানা গিয়েছে। আগামী আগস্টের মধ্যেই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন দিল্লীর এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। প্রথম দুই ঢেউয়ের তুলনায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি শিশু আক্রান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কারণে এবার রাজ্যে শিশুদের জন্য হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি এ বার সার্বিক করোনা চিকিৎসার উপরেও নজর রাখবে এই কমিটি।
একইসঙ্গে রাজ্যে করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো জোরদার করতে কমিটি পরামর্শও দেবেন। এই কমিটিতে রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক জিকে ঢালি, অভিজিৎ চৌধুরী, সৌমিত্র ঘোষ-সহ পাঁচ চিকিৎসক। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায় এবং বিভূতি সাহা। এছাড়াও, আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় পাল এবং বিসি রায় শিশু হাসপাতালের প্রিন্সিপাল চিকিৎসক দিলীপ পাল ও কমিটিতে রয়েছেন। করোনা বিধিনিষেধ এখনও রাজ্যে সম্পূর্ণ ভাবে উঠে যায়নি। এবার এরমধ্যেই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করল নবান্ন।