একজন দুজন নয়, অন্তত ১৫ হাজার বিজেপি সমর্থক মুখিয়ে আছেন ত্রিপুরায় তৃণমূলে যোগ দিতে। এবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল ত্রিপুরার তৃণমূল রাজ্য কমিটির প্রেসিডেন্ট আশিস লাল সিংয়ের গলায়।
আশিসবাবুর দাবি, করোনার কারণে গণ যোগদান আয়োজন করা যাচ্ছে না। যদি ভোটারের হিসেবে বিচার করি তাহলে অন্তত ৫০ হাজার লোক বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসবেন। আমরা আশা করছি জুলাই মাসের মাঝামাঝি এই যোগদান সেরে ফেলতে পারব আমরা। করোনা বিপর্যয় থামলেই খেলা শুরু হবে।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা বিজেপির অন্দরের বেশ কয়েকজন বিধায়ক বেসুরে বাজে শুরু করেছেন। বিপ্লব বিরোধী গোষ্ঠীর তৎপরতায় শঙ্কিত হয়ে ইতিমধ্যেই মীমাংসা সূত্র খুঁজতে শুরু করেছেন বিজেপির দিল্লীর শীর্ষ নেতারাও। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের থেকেই ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল। মুকুল রায় নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন। আশিসবাবুর বক্তব্য, ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো জনবিরোধী দুর্নীতিগ্রস্ত বিপ্লব দেবের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর’।
শিবপ্রকাশরা ত্রিপুরা ছাড়ার পর থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতারা বারংবারই বলছেন, ত্রিপুরায় যেটুকু যা সমস্যা ছিল তা আপাতত ঠিক হয়ে গিয়েছে। তবে তা মানতে নারাজ আশিষবাবু, পাশাপাশি দলের উত্তরণের সুবর্ণসুযোগ দেখছেন তিনি। তাঁর কথায়, তৃণমূল ত্রিপুরায় শক্ত জমি তৈরি করতে সক্ষম হবে অদূর ভবিষ্যতেই। তার কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় তৃণমূলের জয় একটা উদাহরণ তৈরি করেছে। তাছাড়া ক্রমেই বামেরা কোণঠাসা হতে শুরু করেছে এখানেই বিকল্প হয়ে উঠে আসার সম্ভাবনা দেখছেন তৃণমূলের।
আশিস বাবুর বক্তব্য, ত্রিপুরায় যদি বিপ্লব দেব সরকার এভাবে চলতে থাকলে কালাহান্ডি বা সোমালিয়ার মত অবস্থা হবে এই রাজ্যে। বাজেট বরাদ্দ রীতিমতো লুটপাট হচ্ছে বলেও দাবি করছেন তিনি। এই সমস্ত অভিযোগের প্রমাণ স্বরূপ তথ্য দিন কয়েকের মধ্যে তুলে ধরারও ইঙ্গিত দিচ্ছেন আশিষবাবু। তাঁর বক্তব্য বাংলা ত্রিপুরার যে আবহমানের সাংস্কৃতিক যোগাযোগই ত্রিপুরাকে নতুন দিন দেখাতে সক্ষম হবে।