২মে ফের একবার বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরই তৃণমূলের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ২০২৪। যেখানে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ হতে চলেছেন মমতা। তার আগে জাতীয় স্তরে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতা বিস্তার করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। সেইজন্যই ত্রিপুরাতে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার জেরেই এবার নড়েচড়ে বসল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও যাতে তারা মুখ থুবড়ে না পড়ে তার জন্যই প্রস্তুতি শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ফেরার পর মুকুল রায় সম্ভবত ত্রিপুরায় দলের সংগঠন শক্তিশালী করা ও বিস্তারের দায়িত্ব পেতে চলেছেন। দল ভাঙাতে সিদ্ধহস্ত মুকুল প্রথমেই টার্গেট করতে পারেন সুদীপ রায় বর্মনকে। তাঁর হাত ধরেই ত্রিপুরাতে বড়সড় ভাঙন ধরতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছে বিজেপি। আর সেই আভাস পেয়েই আগরতলায় হাজির হলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষ। দিনভর বিভিন্ন সাংগঠনিক বৈঠক করলেন তিনি। এমনকী, বিপ্লব বিরোধী ৬ বিধায়ককে নিয়েও বৈঠক করেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ রায় বর্মনও।
প্রসঙ্গত, এতদিন ত্রিপুরায় তৃণমূলের ৬ জন বিধায়ক ছিল। কিন্তু মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পরেই ওই ৬ জন বিধায়ক বিজেপিতে চলে যান। যার ফলে তৃণমূল শূন্য হয়ে পড়েছিল ত্রিপুরা। অন্যদিকে বিপ্লব দেবের সঙ্গে সুদীপ রায় বর্মন এর সঙ্ঘাত সর্বজনবিদিত। বিজেপির ওপরতলাতেও এই খবর অজানা নয়। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ১৪ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি ছাড়তে পারেন সুদীপ। আর তার জন্যই জল্পনা শুরু হয়েছে। আর সেই বিপর্যয় আটকাতেই তড়িঘড়ি ত্রিপুরা ছুটে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।