শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফেরার দিন রাজ্যের চতুর্দিকে অন্তর্কলহ দেখা গেল বিজেপির অন্দরে। একদিকে যেমন প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রকাশ্যে বাংলায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং লবিবাজি নিয়ে মুখ খুলেছেন, অন্যদিকে বনগাঁতে দিলীপ ঘোষের বৈঠক বয়কট করলেন দলের বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। বনগাঁ এবং গাইঘাটার যে মতুয়া ভোট পাওয়ার আশায় বাংলার প্রথম দফার ভোটের দিনে বাংলাদেশে মতুয়া মন্দিরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেই মতুয়া গড়েই সম্ভবত বড় বিপর্যয়ের মুখে গেরুয়াশিবির।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বনগাঁয় বিজেপির সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার ৬ বিধায়ক ও সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। কিন্তু বৈঠকে নাকি আসেননি সাংসদ শান্তনু। জানা যাচ্ছে, অনুপস্থিত ছিলেন ৬ বিধায়কের ৩ জনই। কার্যত ভাঙা হাটেই নাকি বৈঠক করতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এদিন বৈঠকের শুরুতেই অনুপস্থিতির তালিকা নিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, “আমন্ত্রণ করা হয়েছে সকলকে। তাঁরা নিশ্চয়ই আসবেন।” কিন্তু সময় গড়ালে নাকি দেখা যায়, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া সভায় উপস্থিত হননি। জানা যাচ্ছে, উপস্থিত ছিলেন না শান্তনু ঠাকুরও। এঁদের অনুপস্থিতিতেই নাকি সভা শুরু করেন দিলীপ।