বিরোধীরা প্রথম থেকেই সরব। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সামিল হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা। আর এই জোড়া চাপের মুখে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সোমবারই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, টিকাকরণের কেন্দ্রীয় নীতি থেকে সরে এবার রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে টিকা দেবে সরকার। একে কেন্দ্রের টিকানীতির গাফিলতি এবং ভুল থেকে শিক্ষা হিসাবেই দেখছে বিরোধীরা। বিরোধী দল থেকে শুরু করে অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের তরফে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি এবং কেন্দ্রের টিকানীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনাকেই মোদী সরকারের এই ভোলবদলের কারণ বলে মনে করছেন।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বিনামূল্যে টিকাকরণের জন্য বহুবার প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন। সোমবার মোদীর ঘোষণার পর তিনি টুইটে বলেন, ‘এতটা চাপ দেওয়ার পর তাঁর চার মাস লাগল আমাদের কথা শুনতে এবং সেটা বাস্তবায়িত করতে। অতিমারীর শুরু থেকে ভারতের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, প্রধানমন্ত্রীর এই বিলম্বিত বোধোদয় বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে।’ উল্লেখ্য, মমতা চিঠি লিখে এ-ও দাবি জানিয়েছিলেন যে, রাজ্য সরকার নিজের টাকায় সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে চায়। সেটা অন্তত অনুমতি দেওয়া হোক যাতে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া যায়।
অন্যদিকে৷ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন মোদী সরকারের নীতিবদলকে স্বাগত জানিয়ে দাবি করেছেন, রাজ্যগুলিকে এবার টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন, টিকাকরণের যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্মের সম্পূর্ণ অধিকার দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে বেশ কয়েকবার বলেছেন যে স্বাস্থ্য হল রাজ্যের বিষয়। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আবার প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে এই মুহূর্তের সবচেয়ে যথাযথ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন যে, ‘আমি খুশি কারণ আমাদের আবেদনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও একই কথা বলেছেন।