মঙ্গলবার দলের রাজ্য স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অথচ সেই বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি-র প্রথমসারির নেতা মুকুল রায়। নেই বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুকুলের পুত্র শুভ্রাংশুও নেই ওই বৈঠকে। যদিও গেরুয়াশিবিরের দাবি, দিলীপের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথাই নয়। কারণ, তিনি রাজ্য কমিটির সদস্য নন। অনুপস্থিত রাজীবও রাজ্য কমিটির পদাধিকারী নন। কিন্তু তাঁকে দলের বিভিন্ন বৈঠকে ‘বিশেষ আমন্ত্রিত’ হিসেবে ডাকা হত।
উল্লেখযোগ্য ভাবে এদিন সাড়ে ১১টা নাগাদ বৈঠক শুরু হলেও এসে পৌঁছননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়। শুভেন্দু অধিকারীও দিল্লীতে। শোনা যাচ্ছে ভার্চুয়ালি থাকবেন তিনি। শুভেন্দুর এই দিল্লী সফর নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘শুভেন্দু তো জানে মিটিং আছে। তাও দিল্লী গিয়েছে। কেন গিয়েছে তা জানি না। দিল্লীর নেতারা বলতে পারবেন’।
মূলত বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি জেলার সভাপতিরাও এই বৈঠকে আছেন। তবে সকলেই যে সশরীরে হেস্টিংসে হাজির হয়েছেন এমনটা নয়। অনেকেই ভার্চুয়ালি রয়েছেন বৈঠকে। ইতিমধ্যেই হেস্টিংসে এসে পৌঁছেছেন সৌমিত্র খাঁ, দুলাল বর, সব্যসাচী দত্তরা।
সূত্রের খবর, দলের ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরানো, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে ১৯ জুন থেকে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। দলের সাংসদরা এ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছেও দরবার করবেন। এই সমস্ত নিয়ে আলোচনা হতে পারে এদিনের বৈঠকে। একইসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট চাওয়া হতে পারে জেলা সভাপতিদের কাছে।