‘খেলা হবে’ – এই স্লোগান তুলেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাত করেছে তৃণমূল। ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য এসেছে রাজ্যের ক্ষমতায়। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের গোলাপ বিছানো পথে তারই মধ্যে কাঁটা রয়ে গিয়েছে গুটি কয়েক। আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের হার তেমনই একটি। তবে সায়নীর পরিশ্রম এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির জন্য তাঁর কাঁধে সংগঠনের বড় দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যুব তৃণমূলের সভানেত্রী পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। শনিবার সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর সোমবার থেকে কাজ শুরু করে দিলেন সায়নী। দুপুরে তৃণমূল ভবনে গেলেন তিনি। বললেন, ‘২০২৪-এ লড়াই নয়, বড় খেলা হবে’।
তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর শনিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে বেশ গুরুত্বপূর্ণ রদবদল করেছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে তাঁকে আরও বড় দায়িত্বে আনা। অভিষেক এখন দলের নাম্বার ২, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর অভিষেকের ছেড়ে যাওয়া পদে বসানো হয়েছে নির্বাচনে প্রাণপণ লড়াই করেও পরাজিত হওয়া তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষকে। তিনিই এখন থেকে যুব তৃণমূল সংগঠনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। আর দায়িত্ব পেয়েই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন টলি অভিনেত্রী।
সোমবার দুপুরে সায়নী নিজের কাজ বুঝে নিতে পৌঁছে যান তৃণমূল ভবনে। সেখানে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। সদ্যপ্রাক্তন সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। তাঁর থেকেই সমস্ত কাজ বুঝে নেবেন। সায়নী জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই জেলাস্তরের যুব সংগঠনের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন। তৃণমূল ভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব পরিকল্পনা জানানোর পাশাপাশি সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সায়নীর আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য, ‘২০২৪-এ লড়াই হবে না, বড় খেলা হবে’।
