এবারের বিধানসভা নির্বাচন পর্বে তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। কুৎসা, চক্রান্ত, অপমান তাঁকে কম সহ্য করতে হয়নি। তবুও নিজের মেরুদন্ড সোজা রেখে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। সঙ্গ দিয়েছে জনতা। বাংলা পেয়েছে মানুষের পাশে থেকে ভরসা জোগানোর মতো এক পরিণত রাজনৈতিক নেতা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজ সেই অভিষেককে ঘিরেই উচ্ছ্বাস-আবেগে ভাসছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবির আওয়াজ তুলেছে, ‘পাশে আছেন অভিষেক’। নেটমাধ্যম জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সেই হ্যাশট্যাগ।
একদিকে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অন্যদিকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি। মানুষের পাশে থাকার নিদর্শন এর আগে একাধিকবার অভিষেকের ক্ষেত্রে দেখেছে বাংলা। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে তিনি যেন অপ্রতিরোধ্য। একুশের নির্বাচনে অভিষেককে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। প্রচার পর্বে বাংলা চষে ফেলেছেন তিনি। তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উন্নয়ন। বার্তা দিয়েছেন, আগামী দিনে মানুষের জন্য সরকারের কী কী অঙ্গীকার এবং তা পূরণের। জনসভা, রোড শো থেকে তাঁর সাবলীল ও সুচারু ভাষণ আকৃষ্ট করেছে গ্রাম থেকে শহর, সব মানুষকে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের দুই শতাধিকের বেশি আসন জয়ের পিছনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য ছিল। ইতিমধ্যে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজেও জোরকদমে নেমে পড়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, শুক্রবার দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে অভিষেককে। যার খানিকটা আভাস মিলেছে তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে অভিষেককে আরও বেশি করে দেখা গিয়েছে। যশ-এর প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের ছুটে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণসামগ্রী। মানুষের পাশে সর্বোতভাবে রয়েছেন, সেই বার্তাটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবেই যেমন আপস করা হবে না, তেমনই মানুষের আরও উন্নতির দিকটাও বিশদে উল্লেখ করেছেন তিনি। দেখা গিয়েছে, এরপরই তৃণমূল নেতৃত্ব সোশ্যাল মিডিয়াতে আওয়াজ তুলেছে, #পাশে আছে অভিষেক।