যদিও এই এলাকা তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে না, তবু তিনি তো শাসকদের যুব সভাপতি। তাই এলাকাবাসীর সমস্যা বুঝতে উত্তর ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ অংশ পরিদর্শন করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি মহকুমার একাধিক নদী পার্শ্ববর্তী এলাকা জলপথে ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর সাথে ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, নারায়ণ গোস্বামী সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব।
এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ধামাখালি হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে আসেন অভিষেক। তারপর জলপথে সন্দেশখালির একাধিক পঞ্চায়েত ঘুরে দেখেন তিনি৷ কোরাকাঠি, ছোট তুষখালি, তুষখালি, ভাঙা তু্ষখালি, আতাপুর, মণিপুর, বয়ারমারি, আগারহাটি গ্রামের অবস্থা লঞ্চ থেকেই দেখেন তিনি। বিদ্যাধরী নদী ধরে জলযান এগোলেই দেখা যাচ্ছে নদীর দু’ধারে ত্রাণের অপেক্ষায় প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। সন্দেশখালি বিধানসভার ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ আছেন ত্রাণ শিবিরে। এই সব মানুষদের প্রকৃত অবস্থা কি তা বুঝতেই এদিন প্রায় ৫৫ মিনিট পরিদর্শন করেন তিনি৷ ধামাখালি ফেরি ঘাট থেকে কোরাকাঠি অবধি দেখেন তিনি। উল্লেখ্য, তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে এদিন ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। এদিন এলাকা পরিদর্শন করার পরে অভিষেক বলেন, “বহু মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরে আছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে যাবতীয় সাহায্য করা হচ্ছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকলকে বলা হয়েছে। তাই আমি নিজে জেলার সকলকে নিয়ে দেখলাম।”