দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরেই এবার ব্যাপক বাড়ল বাণিজ্য ঘাটতি। কোনও দেশের রপ্তানির চেয়ে আমদানি যদি বেশি হয়, তাহলে বলা হয় সেই দেশটিতে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। যে মূল্যের পণ্য আমদানি হয়েছে, তা থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মূল্য বাদ দিলে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায়, তা হল সংশ্লিষ্ট দেশটির বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, গত মে মাসে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩২ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় ওই বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৭৪.৬৯ শতাংশ বেশি।
জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে ভারত বিদেশে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করেছে, তার মূল্য ৩২২১ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালের এপ্রিল রপ্তানি হওয়া পণ্যের দাম ছিল ১৯২৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা। গত এপ্রিলে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, তার পরিমাণ ৩৮৫৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২ লক্ষ ৮১ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালের এপ্রিলে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, তার দাম ২২৮৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১ লক্ষ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩৬২ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে তার পরিমাণ ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।