করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথমে নিজের বাড়িতেই চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন। তবে পরে জটিলতা বাড়তে থাকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি ক্রমশ বাড়তে থাকা শুকনো কাশি চিন্তায় রাখছিল ডাক্তারদের। অন্যান্য সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হলেও কিছুতেই তা কমছিল না। তবে সূত্রের খবর, এখন অনেকটাই স্বস্তি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কাশি কমেছে। অক্সিজেনের মাত্রাও এখন অনেকটা স্বাভাবিক। মিনিটে ১ থেকে ২ লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। তাই টানা বাইপ্যাপ দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ছে না আর।
আজ সকালে উডল্যান্ড হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হল বছর সাতাত্তরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক পরিস্থিতির কথা। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা নেমে যায়। উদ্বেগ বাড়তে থাকায় চিকিৎসকরা তাঁকে আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেননি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করা হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তার কৌশিক চক্রবর্তী, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সৌতিক পণ্ডার অধীনে চিকিৎসা শুরু হয়। পরে তাঁর জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়।
এদিন সকালের মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ, যা একেবারেই স্বাভাবিক। পালস রেট প্রতি মিনিটে ৬৫। মাঝে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই মাত্রাও স্বাভাবিক। তাঁকে গ্লুকোজ এবং অন্যান্য খাবার তরলাকারে খাওয়ানো হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিজেই খেতে পারছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কথাও বলছেন স্বাভাবিকভাবে। সামান্য শ্বাসকষ্ট রয়েছে। করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধ রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। সেই কোর্সও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।