এফআইসিসিআই-এর বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে অনুযায়ী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে বেশ কিছু ব্যবসা ফের সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছে। মার্চের আগে যে সমীক্ষা করা হয়েছিল সেখানে ব্যবসায়িক ক্ষেত্র লক্ষ্মীলাভের মুখ দেখলেও সাম্প্রতিক সময়ে সেই গ্রাফ অবনতির পথে ঝুঁকেছে৷ এফআইসিসিআই-এর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ওভারঅল বিজনেস কনফিডেন্স ইন্ডেক্স চাহিদা অনুযায়ী অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে।
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তাই প্রত্যাশার পরিবর্তে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অবস্থার পাশাপাশি কোভিড -১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে সামগ্রিক সূচক নেমেছে ২০ পয়েন্টের নীচে৷ অথচ এক বছর আগেই এই সূচক ছিল ৪২.৯ পয়েন্টে।
এখন চিন্তার বিষয় হল বাজারে চাহিদার ঘাটত। সমীক্ষায় ৭০ শতাংশের মতে আগামী দিনে এই ঘাটতি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উদ্বেগ বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠবে। যত চাহিদা কমবে বিক্রির জায়গাও ক্রমশ সংকুচিত হবে। যার রেশ মারাত্মক। তবে শুধু ফিকি নয়, মে ২০২১ এ প্রকাশিত রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও।
এফআইসিসিআই-এর সার্ভেতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে পারিবারিক উপার্জন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে চাহিদায়৷ প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ প্রভাবিত হয়েছে। তাই অনেক পরিবারের পক্ষে আয়ের ক্ষেত্রে স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, রোজগার বন্ধ হয়েছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে সর্বোচ্চ’।
তবে কি এই সমস্যার সমাধান নেই? অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকাকরণের মাধ্যমে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাহলেই সংক্রমণ রুখে ধীরে ধীরে লকডাউন উঠিয়ে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি। আর্থিক ক্ষেত্র ও বাজার চাহিদা সচল না হলে সমস্যা থেকে যাবে তিমিরেই।