বাঙালি বরাবর ‘দীপুদা’-র ভক্ত হলেও বিগত কয়েক বছর ধরেই দু’দিনের ছুটিতে তাঁদের অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন মন্দারমণি। তবে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেই মন্দারমণির। অবস্থা এমনই করুণ যে, মানচিত্রে মন্দারমণির নতুন রুপ দেখতে হবে। ভাঙা কাঠামো, ভেসে যাওয়া দরজা-জানলা আর বোল্ডারের নিজেদের ইচ্ছেমতো অবস্থান নেওয়া এই তিন নিয়েই চেনা মন্দারমণির অচেনা রুপ দেখা যাচ্ছে।
বুলবুল, ফণী, উম্পুনের মতো একাধিক ঝড় বয়ে গেছে। সে সব ঝড়ও ছিল ভয়াবহ। কিন্তু প্রকৃতির রোষ কাকে বলে তা বুঝতে গেলে যেতে হবে মন্দারমণি। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধু শূন্যতা। মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি দেবদুলাল দাস মহাপাত্র বলছেন, “এই যন্ত্রণা আমাদের কতদিন নিয়ে বয়ে বেড়াতে হবে কে জানে। একটা ঝড় আর তার জেরে জলোচ্ছ্বাস আমাদের সব শেষ করে দিল।” হোটেল, রিসর্ট মিলিয়ে সংখ্যা প্রায় ২০০ এই মন্দারমণিতে। তার মধ্যে প্রায় ৭০টি হোটেল, রিসর্ট আছে যা সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে বলা চলে।
স্থানীয়রাই বলছেন মন্দারমণি আজ মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে। প্রায় ৭০টি হোটেলকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেছে সমুদ্র। এই সব হোটেল ছিল একেবারে সি-বিচ লাগোয়া। আর এই সব হোটেল একসাথে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে দালান, মেঝে। ফাটল ধরেছে রাস্তায়। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে আছে। গোটা এলাকা অন্ধকার। মাঝে মধ্যেই অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। যা অবস্থা তাতে আবর্জনা সরিয়ে, সাধারণ একটা কাঠামো তুলতে সময় লাগবে প্রায় মাস আটেক। এখন লকডাউন চলছে। ফলে পর্যটক নেই। সব ঠিকঠাক থাকলে এখানে পর্যটকরা আসতে পারেন পুজোর সময়।