দিনভর চরম নাটকের পর চোখে জল ফিরহাদ হাকিমের। মধ্যরাতের পর নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতর থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় ফিরহাদ হাকিমকে। তাঁকে কলকাতার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আক্ষেপের সঙ্গে বললেন, ‘আমায় কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে দিল না।’
সোমবার সকালে নারদকাণ্ডে বাড়ি থেকে ফিরহাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দিনভর টানাপোড়েনের পর সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য সেই জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই স্থগিতাদেশের পর রাত ১ টা ১৫ মিনিট নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের ঘেরাটোপে ফিরহাদ, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেস থেকে বের করা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবেগ চেপে রাখতে পারেননি ফিরহাদ।
সাংবাদিকদের ফিরহাদ বলেন, ‘ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে এবং আইনের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্তি পাব। বিজেপি সব কিনে নিতে পারে – সিবিআই, ইডি – সব। এরপর হয়তো ইডি দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কেস করিয়ে দেবে। হেনস্থা করবে। কিন্তু বিচার ব্যবস্থা মুখ বন্ধ করে থাকবে না। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার পাব। হইহই হতে পারে। জনপ্রিয় হওয়াটা কোনও অন্যায় নয়।’ তারপরই কান্না চাপার চেষ্টা করে তিনি বলেন, ‘আমায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমায় কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে দিল না।’