ভোররাতে অসুস্থ মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন দু’জনই। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে মদন মিত্রকে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বোধ করায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মঙ্গলবার ভোর রাতে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় অক্সিজেন দিতে হয় দুই হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতাকে। এই মুহূর্তে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা ৷
এসএসকেএম সূত্রে খবর, মদন মিত্র রয়েছেন উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে। শোভন চট্টোপাধ্যায় ১০৬ নম্বর কেবিনে রয়েছেন। সোমবার রাতে নিজাম প্যালেস থেকে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়েছিল।
নারদ মামলা নিয়ে সোমবার দিনভর নাটকের পর ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। গতরাতে একটা ১৫ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে তাঁদের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ বোধ করেন মদন এবং শোভন। দু’জনকেই প্রাথমিকভাবে সংশোধনাগারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আসেন সুব্রতও। তবে কোনওরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই তিনি ফিরে যান সংশোধনাগারে। তাঁকে সংশোধনাগারের পরিবর্তে হাসপাতালে রাখার জন্য ইতিমধ্যে পরিবারের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, মদন এবং শোভন এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি আছেন।
দিনকয়েক আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন মদন। সদ্য করোনা-মুক্ত হয়েছেন। পরিবারের দাবি, করোনা-পরবর্তী বিভিন্ন সমস্যা আছে তাঁর। একটি সূত্রের দাবি, সোমবার সারাক্ষণ নিজাম প্যালেসে থাকার ফলে সেই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। অসুস্থ বোধ করতে থাকেন মদন। সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পর মদনের অসুস্থতা আরও বাড়ে। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে হাসপাতালে ভর্তির পর দেখা যায়, তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হচ্ছে শোভনেরও। তাই দু’জনকেই অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আপাতত দু’জনেরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।