কোভিশিল্ড নেওয়ার কুড়ি দিনের মধ্যে শ্বাস নিতে সমস্যা, বুকে ব্যথা, হাত বা কাফ মাসলে যদি ব্যথা বা ফুলে যাওয়া, টিকা দেওয়ার জায়গা ও তার আশেপাশে লাল রংয়ের র্যাশ বার হওয়া, বমি-সহ বা ছাড়া প্রচণ্ড পেটে ব্যথার মতো মোট ১২টি উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা নিয়ে কিছু মানুষের দেহে রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে স্বীকার করে নিয়ে সোমবার এমনই নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকারের এক কমিটি।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেন, জার্মানি, কানাডা-সহ বেশ কয়েকটি দেশে কোভিশিল্ড নেওয়ার পর প্রাপকদের দেহের টিকা নেওয়ার স্থান থেকে রক্ত বেরিয়ে যাওয়া অথবা শিরা বা ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসে। এর ফলে মারাও গিয়েছেন অনেকে। যারপরই বেশ কিছু দেশে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে কোভিশিল্ড দেওয়ার কাজ। আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া-সহ বেশ কিছু দেশে কোভিশিল্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। যদিও শুরু থেকেই ভারতের ক্ষেত্রে রক্ত বার হওয়া বা জমাট হয়ে যাওয়ার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে টিকাপ্রস্তুতকারক সংস্থা। তবে গতকাল কেন্দ্রের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হল, তাতে স্বীকার করে নেওয়া হল যে, হাতে গোনা হলেও রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে নিজেদের সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়েছে দ্য ন্যাশনাল অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন বা এনএইএফআই নামক কমিটি। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সোমবার কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩৮১ জন ভারতীয়কে টিকা দেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৬ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার ৮১৯ জন নিয়েছেন কোভিশিল্ড, ৬৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫৬২ জন কোভ্যাক্সিন। এঁদের মধ্যে শিরা বা ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া অর্থাৎ থ্রম্বোলিক হয়েছে মাত্র ২৬ জনের। প্রতি দশ লাখে যা দাঁড়ায় ০.৬১ জন। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও ৪।