রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মরসুমেই ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে খুন হয়েছিলেন ৪ জন। সেই সময়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শীতলকুচি-কাণ্ডের যথাযথ তদন্ত হবে। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই কথা রেখেছেন তিনি। ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে সিট। আর আজ, পূর্ব পরিকল্পনা মতই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন সিআইডির নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, শীতলকুচির জোড়পাটকির যে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ৪ জনের, সোমবার সকাল ৮ টা নাগাদ সেখানেই যান তদন্তকারী অফিসাররা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ঘটনার পুনর্নির্মাণ। সূত্রের খবর, শীতলকুচির ওই বুথের বাইরে ঠিক কোথায় গুলি চলেছিল, কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের জেরা করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল, তার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করার পরই শীতলকুচি থানার আইসিকে ডেকে পাঠান তদন্তকারীরা। পরবর্তীতে জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে কর্মরত সিআইএসএফ-এর দুই অফিসার-সহ ৬ জনকে তলব করে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। করোনার অজুহাতে ইতিমধ্যেই দু’বার হাজিরা এড়িয়েছেন তাঁরা। ফের তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। এরই মাঝে শীতলকুচিতে পৌঁছলো তদন্তকারী দল। রাজ্য সরকার যে এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এত সহজে ছেড়ে দেবে না, তা আজকের ঘটনাতেই পরিষ্কার।