সোমবার সকালে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড়। নারদকাণ্ডে চার নেতা মন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র নিজাম প্যালেস ও রাজভবনের ভবন চত্বর। জেলায় জেলায় জ্বলছে আগুন। কলকাতার বিভিন্ন মোড়ে অবরোধ। করোনা পরিস্থিতি এত লোকের জমায়েতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ল কয়েকগুণ বেশি। এমন অশান্ত উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে প্রত্যেকের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন তৃণমূল সাংসদের।
টুইটে অভিষেক লিখেছেন, ‘প্রত্যেককে আইন মেনে চলার আর্জি জানাচ্ছি। বাংলার মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে এমন কোনও কাজ থেকে বিরত থাকুন যা লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে। বিচারব্যবস্থায় আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং আইনি পথে আমরা এই লড়াই করব’।
‘নারদকাণ্ডে নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারির খবর পেতেই প্রতিবাদে নিজাম প্যালেসের গেটের বাইরে ভিড় জমান কর্মী সমর্থকেরা। চলতে থাকে বিক্ষোভ।সকাল থেকেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি ছিল নিজাম প্যালেসে।চারজনের গ্রেফতারের পরেই সেখানে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মদন মিত্রেরও অনুগামীরা নিজাম প্যালেসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানো হয় সেখানে। একাধিক তৃণমূল নেতারাও নিজাম প্যালেসে যান। ১০টা ৪৮ এ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আরও ভিড় বাড়তে থাকে। চলে বিক্ষোভও। দুপুর ১২ টার পরে রাস্তায় তৃণমূল কর্মীরা বসে পড়েন। ক্ষোভ বাড়তে থাকে আরও। পোস্টার ব্যানার নিয়ে হাজির হন অনেকে। যত সময় পেরোয় বাড়তে থাকে ক্ষোভের আঁচ। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সহ করোনা সংক্রমণ আরও ছড়ানোর আশঙ্কায় উদ্বেগে অভিষেক।