বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল সরকার, তখন সোমবার সাতসকালেই নারদ মামলায় পরপর ৩ তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্র-সহ শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর তারপরেই বিজেপির এ হেন প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে সরব শাসক দল। অভিযোগ, নির্বাচনে গো-হারা হেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে সকাল সকাল রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতাকে তুলে নিয়ে এসে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিন আগাম নোটিশ ছাড়া আচমকাই ফিরহাদ, সুব্রত, মদনকে গ্রেফতার করায় নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের জমায়েত ও বিক্ষোভ শুরু হয়। বেলা বাড়তেই সেই জায়গা আপাতত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আর এর জেরেই আদালতে সশরীরে হাজির থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সিবিআই-এর আধিকারিকরা। প্রাণভয়ে ও নিজাম প্যালেসের বাইরের পরিস্থিতি দেখেই দিল্লীতে সিবিআই-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানান যাতে এই চারজনকে আদালতে সশরীরে না গিয়ে পেপার ওয়ার্ক করে বা ভার্চুয়ালে শুনানি করা হয়।
নিজাম প্যালেসের বাইরে সিবিআই-এর অফিস লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়, বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও বিক্ষোভ বাড়ছে বেলা বাড়তেই। তাই দিল্লির সিবিআই আধিকারিকদের অনুমতি পেয়েই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিচারপতির অনুমদনে নারদ কাণ্ডে রাজ্যের চার গ্রেফতার হওয়া নেতাদের ভার্চুয়ালি শুনানির প্রক্রিয়া শুরু হবে। যদিও ১০ টা ৪৮ থেকে নিজাম প্যালেসে হাজির রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করুন ক্ষমতা থাকলে, নইলে সিবিআই অফিস ছাড়ব না।’ এদিন সিবিআই ডিআইজিকেও ফোনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘অবিলম্বে যাদের বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ছাড়তে হবে।’